Header Ads

গরুর দুধ বৃদ্ধির ইনজেকশন

 গরুর দুধ বৃদ্ধির ইনজেকশন জরুরী প্রয়েজনে 01719771195

গাভীর দুধ উৎপাদন বাড়াতে কখন থেকে যত্ন নিতে হবেঃ

গাভীর দুধ উৎপাদন বাড়াতে বাছুর জন্মের ৩ মাস পূর্বথেকেই গাভীর যত্ন নিতে হবে। এই সময় থেকে গাভীকে প্রতিদিন জিংক (Zinc) ও ক্যালসিয়াম সিরাপ খাওয়াতে হবে। সপ্তাকে একটি করে মাল্টিভিটামিন ইঞ্জেকশন ও ক্যাটাফস ইঞ্জেকশন দিতে হবে। বাছুর জন্মের ২-৩ মাস পূর্বে দুধ দোহন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এভাবে যত্ন নিলে গাভী সুস্থ থাকবে এবং দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।



দুধ বাড়াতে গাভীর পরিচর্যা ও যত্নঃ

দুগ্ধবতী গাভী থেকে অধিক পরিমাণে দুধ পেতে নিয়মিত গাভীর যত্ন নেওয়া উচিত। গাভীকে নিম্নের নিয়মে যত্ন নেওয়া যেতে পারে-
  • ১. গাভীকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে, গরমের দিনে দিনে দুই বার গোসল করানো যেতে পারে, শীতের দিনে হালকা গরম পানি দিয়ে সপ্তাহে ৩-৪ দিন গোসল করানো যেতে পারে।
  • ২. নিয়মিত গোয়াল পরিষ্কার করতে হবে, সকাল বিকাল দুইবার গোয়াল বা খামার পরিষ্কার করা ভালো।
  • ৩. সকাল ও বিকাল দুইবার গরুকে দানাদার খাবার দিতে হবে।
  • ৪. গরুর চাহিদা মতো দিনে দুইবার ইউএমএস বা ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র বা ইউরিয়া ও চিটাগুড় প্রক্রিয়া জাত খড় খাওয়াতে হবে (ইউ.এম.এস তৈরির প্রক্রিয়া আমাদের অন্য আর্টিকেলে লেখা হয়েছে, খুজলে পেয়ে যাবেন), গাভী ইউ.এম.এস খেতে খুব পছন্দ করে এবং ইউ.এম.এস খাওয়ালে দানাদার খাদ্যের পরিমাণ কমিয়েও আগের চেয়ে বেশি দুধ পাওয়া সম্ভব।
  • ৫. নিয়মিত পরিমিত মাত্রায় ১-২ বার গাভীকে কাচা ঘাস খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে, ঘাসের অভাবে খড় খাওয়াতে হবে।
  • ৬. গর্ভে বাছুর থাকা অবস্থাতে-ই গাভীর খাবার ও অন্যান্য পরিচর্যা সঠিক নিয়মে করতে হবে।
  • ৭. দানাদার খাদ্যের সাথে জল বা পানি মিশিয়ে না খাইয়ে শুকনা দানাদার খাদ্য খাওয়াতে হবে।
  • ৮. গাভীর নিকট সবসময় একটি পাত্রে জল রাখতে হবে যাতে গাভী ইচ্ছা মতো জল খেতে পারে, এই পদ্ধতিতে (ফ্রি চুজ পদ্ধতি) জল খাওয়ালে গাভীর দুধ উৎপাদন আগের চেয়ে বৃদ্ধি পায়।
  • ৯. গরুকে বাসি খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • ১০. নিয়মিত খাবার ও পানির পাত্র জীবাণুনাশ জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
  • ১১. নিয়মিত গাভীকে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে।
  • ১২. কোনো প্রকার রোগ দেখা দেওয়া মাত্র দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।



গাভীর দুধ উৎপাদন বাড়াতে খাবার সরবরাহঃ

গাভীর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পরিমিত মাত্রায় খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। নিম্নে গাভীকে খাবার খাওয়ানোর প্রক্রিয়া তুলে ধরা হলো-
  • ১. গাভীকে দানাদার খাদ্য হিসেবে চালের কুড়া - ৩ কেজি, গমের ভূষি - ৪ কেজি, সয়ামিল - ৪ কেজি, যে কোনো ডালের ভূষি - ১ কেজি এই হারে একসাথে  মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।
  • ২. প্রতিদিন গাভীকে প্রথম ১ কেজি দুধের জন্য ৩ কেজি দানাদার খাদ্যা খাওয়াতে হবে এবং এর পর প্রতি ১ কেজি দুধ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আধা কেজি করে দানাদার খাদ্য বাড়াতে হবে, অর্থাৎ গাভী যে পরিমাণ দুধ দেয় তার চেয়ে ২ কেজি দুধ বাড়াতে ১ কেজি দানাদার খাদ্য বেশি খাওয়াতে হবে, এভাবে খাওয়াতে খাওয়াতে যখন আধা কেজি দানাদার খাওয়ালে  গাভী আরো ১ কেজি বেশি দুধ উৎপাদন করতে পারবে না তখন দানাদার খাদ্য আর বাড়ানো যাবে না এবং এই হারে গাভীকে নিয়মিত দানাদার খাদ্য খাওয়াতে হবে।
  • ৩. মোট দানাদার খাদ্যকে দুই ভাগ করে সকাল বিকাল দুইবার খাওয়াতে হবে।
  • ৪. গাভীকে প্রতিদিন দুই বার চাহিদা মতো ইউ.এম.এস খড় খাওয়াতে হবে, এর পরিমাণ কমপক্ষে যেনো  ৪-৬ কেজির বেশি হয় (ইউ.এম.এস তৈরির পদ্ধতি আমাদের অন্য আর্টিকেলে দেওয়া হয়েছে)।
  • ৫. গাভীকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিষ্কার জল সরবরাহ করতে হবে, সবচেয়ে ভালো হয় গরুর কাছে একটি পাত্রে সবসময় পরিষ্কার জল রাখা।

No comments

Powered by Blogger.